সুপ্রিয় অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম, আমি কামরুজ্জামান কামরুল, আমার পিতা মরহুম হাজী আব্দুল গফুর মিয়া পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন, বাবার স্বপ্ন ছিল আমি যেন একজন আদর্শবান শিক্ষক হই। কিন্তু জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সাংবাদিকতার পেশা বেছে নেই। তাই আমার মনের গহীনে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি স্বপ্ন লালন করে আসছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেবামূলক কাজ করার। আজ আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদেরকে, যারা আমাকে ঐতিহ্যবাহী মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক, ঢাকা-০৫ এর মাটি ও মানুষের নেতা শিক্ষা বান্ধব সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল স্যারকে। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মান্নান স্কুল এন্ড কলেজ শতভাগ পাশ করে সকল নিন্দুকদের অবাক করে দিয়ে অভাবনীয় সাফল্য বয়ে এনেছে। শুধু তাই নয়, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার মধ্যে যৌথভাবে ১ম স্থান অধিকার করেছে। আধুনিকতার উৎকর্ষে ও “সু-শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বে”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের এই সাফল্যকে উত্তর উত্তর আগামী পথ চলায় আপনাদের অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।
সুপ্রিয় অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ,
বর্তমান সরকারের মিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য। তার একটি মাধ্যম হল অনলাইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক ও একাডেমিক তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা। সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার ওয়েবসাইট তৈরির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। সে উদ্দেশ্যে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছি এবং এ ব্যবস্থা গ্রহন করার ফলে শিক্ষকবৃন্দ প্রতিটি বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানের দৈনিক কার্যক্রম, ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, সাধারণ নোটিশ, ফলাফল এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
যুগের চাহিদা অনুসারে এ প্রতিষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ এবং যুগোপযোগী করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সে প্রচেষ্টা ফলবতী হোক, ঢাকা দক্ষিন সিটি করর্পোরেশনের এই জনপদে এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের অগনিত মানুষের শুভেচ্ছাসিঞ্চনে এ প্রার্থনা আমাদের।
ষাটের দশকের শেষের দিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ঢাকা শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার এক যুগেরও পর স্থানীয় জনগণের আগ্রহ ও তদানীন্তন শিক্ষা সচিব জনাব কাজি বাহার আলির আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৯ সালে ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুকরণে রংধনু আদর্শ স্কুল নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। একই বছরে কলেজ সেকশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০১ সালের ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত উত্তরা ১১ সেক্টর এলাকায় দিয়াবারি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে কলেজটি দাঁড়িয়ে আছে। রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদলে তৃতীয় হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র ছেলে এবং মেয়ে উভয় এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারে